নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতির দাবিতে ফুলছড়িতে গণসমাবেশ

নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতির দাবিতে ফুলছড়িতে গণসমাবেশ


মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা, ফুলছড়ি): গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নারীর অবৈতনিক গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতির দাবিতে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৭ মে) উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসকেএস ফাউন্ডেশনের কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিআরইএ) প্রকল্পের আয়োজনে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গৃহস্থালি ও সেবামূলক খাতে নারীদের অবৈতনিক শ্রমের আর্থিক মূল্যমান তাদের বৈতনিক কাজের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। অথচ এসব কাজের স্বীকৃতি নেই সমাজে, পরিবারে কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে। বক্তারা বলেন, নারীদের দৈনন্দিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টার পরিশ্রম কোনো অর্থনৈতিক বা সামাজিক স্বীকৃতি পায় না, যা পরিবর্তন হওয়া দরকার। বাজেটে এই অবৈতনিক কাজের মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসকেএস ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী উম্মে কুলসুম ইলা এবং সঞ্চালনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী লাভলী খাতুন। এতে উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম আল বিরুনী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ বেগম, শিক্ষক আতিকুর রহমান, ফজলুপুর নারী দলের সভাপতি জাহানারা বেগম, কিশোর দলের সদস্য আলপনা খাতুন, নুরুল হক, শাহীন আলম এবং প্রকল্প কর্মকর্তা সুলতানা বাহারসহ অনেকে।

বক্তারা আরও বলেন, নারীদের গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি দিতে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়—সব পর্যায়ে নীতিনির্ধারকদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধ ও নারী-পুরুষের সমতার বিষয়েও সবাইকে সচেতন হতে হবে।

গণসমাবেশ থেকে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় এবং এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করা হয়।

নবীনতর পূর্বতন