অনলাইন ডেস্কঃ উত্তরাঞ্চলের মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের সেতু গাইবান্ধার হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুর উদ্বোধন ২ আগষ্ট।প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। দেশে এলজিইডির ইতিহাসে এটিই সর্ববৃহৎ প্রকল্প ও পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ।
সেতুটি চালু হলে যেমন দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে দুই জেলার লাখো মানুষের,তেমনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জন্য এটি হবে ব্যতিক্রমী এক অর্জন। এলজিইডি সূত্র জানায়,সৌদি সরকারের অর্থায়নে এবং চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে পিসি গার্ডার সেতুটি। প্রায় ৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পিসি গার্ডার সেতুটির দৈর্ঘ্য ১,৪৯০ মিটার এবং প্রস্থ ৯.৬ মিটার।
পুরো প্রকল্পের তদারকি করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেতুকে ঘিরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সেস সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে রয়েছে ৫৮টি বক্স কালভার্ট এবং ৯টি আরসিসি সেতু। নতুন এই সড়ক সংযোগের মাধ্যমে বেলকা বাজার,পাঁচপীর, ধর্মপুর, হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ও ধাপেরহাটসহ অন্তত ১০টি বাজার যুক্ত হচ্ছে মহাসড়কের সঙ্গে। এতে সুন্দরগঞ্জ ও চিলমারী অঞ্চলসহ উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় জনগণ বলছেন, দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে ২ আগষ্ট। সেতুটি চালু হলে শুধু সুন্দরগঞ্জ ও চিলমারী নয়, পুরো গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলের মানুষ যোগাযোগ সুবিধায় নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে। গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, কুড়িগ্রাম,চিলমারী - গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের হরিপুর সেতুটি দেশের প্রথম এলজিইডির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।সেতুটি নির্মাণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সেখানকার, হাট বাজার গুলো ব্যবসার জন্য সুযোগ সুবিধা লাভ করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়। এরপর নানা জটিলতায় কাজের সময়সীমা কয়েকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালে সেতু ও সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্নের কথা ছিল। অবশেষে সব জটিলতা ও প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে (২ আগষ্ট) তিস্তার বুকজুড়ে দৃঢ় সংযোগের সাক্ষী হতে চলেছে উত্তরাঞ্চলের এই জনগণ।