বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি

বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি

মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা, ফুলছড়ি): গাইবান্ধা জেলায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা, করতোয়া ও যমুনা—সবগুলো প্রধান নদ-নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদে ফুলছড়ি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে ঘাঘট নদে গাইবান্ধা সদর অংশে, তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ ও কাউনিয় পয়েন্টে, করতোয়া নদীর গোবিন্দগঞ্জ অংশে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

বুধবার ১৩ আগষ্ট এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড বিকাল ৬ টার সময় রেকর্ডকৃত তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বর্তমান ১৮.৩৮ সেন্টিমিটার , তিস্তা নদীর সুন্দরগঞ্জ পয়েন্ট বিপদসীমার ০.২৩ সেন্টিমিটার নিচে ২৯.০৮ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বর্তমানে ১৯.৬৮ সেন্টিমিটার,করতোয় নদীর চক রহিমাপুর পয়েন্টে বিপদসীমার দেড় সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বর্তমানে ১৮.০১ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে পানি ঢুকে গেছে। কৃষিজমিতে পানি ঢুকে আমন ধান ক্ষেত , বীজতলা, সবজি ক্ষেত এবং আউশ ধানের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অনেক গ্রামীণ রাস্তা উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে।

এদিকে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ বন্যার আশঙ্কায় ঘরের আসবাব ও গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানাগেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, হাফিজুল হক মুঠোফোনে জানিয়েছে, উজানের ঢল ও গত রাত থেকে ভারী বর্ষণের ফলে গাইবান্ধায় প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসময় তিনি আরও বলেন ইতিমধ্যে বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে।

নবীনতর পূর্বতন