অনলাইন ডেস্ক: “আমি কখনো পতিত আওয়ামী লীগের সুবিধা গ্রহণ করিনি”—এমন মন্তব্য করেছেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদ।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার দেশ–এ সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে নিশাদ বলেন, “গত ১৫ আগস্ট আমার দেশ–এ আমাকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি কোনদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কিংবা তাদের অঙ্গসংগঠনের সাথে কোনো স্তরে জড়িত ছিলাম না। বরং যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি যেকোনো শাস্তি বিনা শর্তে মেনে নেব। আমি কখনোই পতিত আওয়ামী লীগের সুবিধা গ্রহণ করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি একজন শিল্পপতি। আওয়ামী শাসনামলে আমি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করিনি, ঠিকাদারি করিনি, বালু বা জলমহাল কিংবা হাট-ঘাট ইজারা নিইনি। আমার প্রতিষ্ঠিত শিল্পকারখানা চালাতে সরকারি কোনো আনুকূল্যও লাগেনি।”
নাহিদুজ্জামান নিশাদ দাবি করেন, তার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদটি কোনো প্রকার অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নয়, বরং দলের কাঠামোগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এসেছে।
“আমাকে দলীয় পদ দিতে প্রথমে সাঘাটা–ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ জেলা কমিটির কাছে লিখিত সুপারিশ করেন। জেলা বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটিতে সেটি প্রেরণ করে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাচাই–বাছাই করে আমাকে পদ প্রদান করে। তাই এখানে অর্থের বিনিময়ে পদ পাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মহল তাকে ও তার পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসময় তিনি সংবাদ প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা একযোগে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানান এবং নিশাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট আমার দেশ–এ ‘বিএনপির বড় পদ কিনলেন আ. লীগের ডামি প্রার্থী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নিশাদ আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে অর্থের বিনিময়ে জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদটি লাভ করেছেন। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন বিএনপি নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদ।