সাঘাটায় যুবক অপহরণ, মুক্তিপণে দাবি ১০ লাখ টাকা

 

সাঘাটায় যুবক অপহরণ, মুক্তিপণে দাবি ১০ লাখ টাকা

মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা, ফুলছড়ি): গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় মিলন ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (৩১ আগস্ট) সকালে উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের মথরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত মিলন ইসলাম মথরপাড়া গ্রামের ফকিরা ওরফে তছলিম উদ্দিনের ছেলে। তার বড় ভাই আলমগীর ইসলাম বাদিয়াখালী দুঃস্থ মাতা মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক। সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলমগীর ইসলাম সম্প্রতি স্থানীয় মাদারদহ বাজারে জমি কেনার উদ্যোগ নেন। এরপর থেকেই একই ইউনিয়নের যাদুরতাইড় গ্রামের মৃত আশরাফ উদ্দিনের ছেলে ফুয়াদ হোসেন ও মথরপাড়া গ্রামের মৃত আইজল রহমানের ছেলে তানজিল মিয়া আলমগীরের পরিবারের গতিবিধি অনুসরণ করে আসছিল।

৩১ আগস্ট ভোরে ফুয়াদ ও তানজিল কৌশলে মিলন ইসলামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে তারা মিলনের বড় ভাই আলমগীর ইসলামের ফোনে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে দেরি করায় মিলনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

এক পর্যায়ে মিলনের বাবা তছলিম উদ্দিন ছেলেকে বাঁচাতে ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। নিরুপায় হয়ে তিনি তানজিলের আড্ডাখানায় গিয়ে ফুয়াদের হাতে টাকা বুঝিয়ে দেন। টাকা নেওয়ার পর অপহরণকারীরা মিলন ইসলামকে হেলেঞ্চা মৌজার হাইরানদহ এলাকায় ছেড়ে দেয়। পরে মিলনের চাচা সাহেব মিয়া তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় মিলনের বাবা ফুয়াদ, তানজিলসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাদশাহ আলম জানান, “এজাহার পেয়েছি, তদন্তের জন্য এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নবীনতর পূর্বতন