ফুলছড়িতে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবেলায় শিক্ষার্থী ও তরুণদের প্রতিবাদ কর্মসূচি

ফুলছড়িতে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবেলায় শিক্ষার্থী ও তরুণদের প্রতিবাদ কর্মসূচি

মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা, ফুলছড়ি): “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের পশ্চিম খাটিয়ামারী চরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এক প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায়, সুইডেন সরকারের অর্থায়নে এবং এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নাধীন ‘কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (ক্রিয়া)’ প্রকল্পের উদ্যোগে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় শিক্ষার্থী, তরুণ ও জলবায়ু আন্দোলনকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রতিবাদী তরুণ শিক্ষার্থীরা বলেন, যমুনা–ব্রহ্মপুত্র নদঘেঁষা এই অঞ্চল বছরে পর বছর নদীভাঙন, অনাবৃষ্টি, খরা ও অনিয়মিত আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ুর এ পরিবর্তনের কারণে মানুষের জীবন–জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনো পর্যাপ্ত দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু–সহনশীল প্রকল্প বা সুরক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ অবস্থায় নীতিনির্ধারকদের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

স্থানীয় স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। বিশ্বব্যাপী আলোচিত “Fridays for Future” আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় তারা জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

তারা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমরা সবচেয়ে বেশি অনুভব করি। নদীভাঙনে বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। গ্রীন হাউস গ্যাসের অতি নিঃসরণ—প্রকৃতির সঙ্গে বড় প্রহসন। জলবায়ু নয়, বদলাক ব্যবস্থা। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।”

প্রতি বর্ষায় নদীভাঙন তীব্র হয় এবং অসংখ্য পরিবার উচ্ছেদ হয়। খাটিয়ামারী চরের বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে এখনো পুনর্বাসনের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন। তরুণ অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, যথাসময়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে আগামী বছরগুলোতে এ ঝুঁকি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। তাদের ভাষায়, “এটি শুধু একটি প্রতিবাদ নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার সংগ্রাম।”

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন এসকেএস ক্রিয়া প্রকল্পের সমন্বয়কারী লাভলী খাতুন, সুলতানা বাহার প্রমুখ।
নবীনতর পূর্বতন