খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ জলকপাট;বন্যার আশঙ্কা

 

খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ জলকপাট;বন্যার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্কঃ উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে ঢুকছে পানি। পানি নিয়ন্ত্রণে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। বন্যার আশঙ্কা করছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।

রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার), যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করেছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চলের বিভিন্ন ফসল জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর, পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা চর গোবর্ধন, মহিষখোঁচা এবং সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর এবং নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করতে পারে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এ বিষয়ে তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, মূলত উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান তিনি।

নবীনতর পূর্বতন