চলতি মাসেই উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে হরিপুর তিস্তা সেতু

চলতি মাসেই উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে হরিপুর তিস্তা সেতু


অনলাইন ডেস্কঃ গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। চলতি মাসেই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু। গতকাল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষ এ কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট থেকে তিস্তা নদীর ওপর দিয়ে চিলমারী উপজেলা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

পরিদর্শনকালে সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে সেতুটির উভয় পাশ ঘুরে দেখেন এবং কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ মিয়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব সামছুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আবুল হোসেন ও সচিবের একান্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল-নোমান সরকার।

সেতু পরিদর্শন শেষে রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘সেতুটির মূল অবকাঠামো নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু একটি আর্চ ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক পাকাকরণ কাজ বাকি। শিগগিরই বাকি কাজ শেষ করে এ মাসের শেষ দিকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। তবে নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালে পুরোদমে নির্মাণকাজ শুরু হয়। সৌদি সরকারের অর্থায়নে ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণে প্রায় ৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। সেতুতে ২৯০টি পাইল ও ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সেতুর উভয় পাশে ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা স্থায়ীভাবে নদী শাসনের কাজ করা হয়েছে। এছাড়া অধিগ্রহণ করা হয়েছে প্রায় ১৩৩ একর জমি।

সেতুটি নির্মিত হওয়ায় উত্তরাঞ্চল তথা গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে রাজধানী শহরের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার কমবে এবং এলাকার কৃষিপণ্য বাজারজাত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন সংশ্লিস্টরা।

নবীনতর পূর্বতন