গাইবান্ধার
সাঘাটা উপজেলার কলেজছাত্র সিজু মিয়া হত্যার ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলমসহ ১৩ পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
করেছেন নিহতের মা রিক্তা বেগম। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সাঘাটা আমলী আদালতের
বিচারক পাপড়ী বড়ুয়া মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আল আসাদ জানান, শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ জুলাই বিকেলে গাইবান্ধা
সাব-রেজিস্ট্রি অফিস চত্বর থেকে সিজুকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় সাঘাটা থানা
পুলিশ। পরে থানায় তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় এবং মৃতপ্রায় অবস্থায়
থানার পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে লাঠিপেটা করে তাকে হত্যা করা
হয়। পরদিন সকালে ওই পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের মা রিক্তা বেগম অভিযোগ করেন, “আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
নিহত সিজু মিয়া (২৫) গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি
ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের
ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং গিদারি ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি
ছিলেন।
ঘটনার পরদিন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের
কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা
হলেও তাতে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় প্রায় এক মাস পর আদালতের শরণাপন্ন হন
নিহতের মা।
মামলার আসামিরা হলেন: সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম, এএসআই
রাকিবুল ইসলাম, এসআই মশিউর রহমান, এসআই মহসিন আলী, কনস্টেবল হামিদুল ইসলাম,
কনস্টেবল আজাদুল ইসলাম, কনস্টেবল নয়ন চন্দ্র, কনস্টেবল জয় চন্দ্র, এএসআই
আহসান হাবিব, কনস্টেবল ধর্ম চন্দ্র বর্মন, এসআই উজ্জ্বল, ডিউটি অফিসার
এএসআই লিটন মিয়া, স্থানীয় যুবক সাব্বির হোসেন, ইউসুফ, মমিনুলসহ অজ্ঞাত
চার-পাঁচজন।